Posts

পঙ্গপাল কি????

Image
একদিকে করোনা আর অন্যদিকে পঙ্গপাল।পঙ্গপালের তীব্র আক্রমণে বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান।জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।ভারতেও ঢুকে পড়েছে পতঙ্গটি। এছাড়া সোমালিয়াতেও সম্প্রতি এ নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকায় পঙ্গপালের আক্রমণে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে। জিবুতি ও ইরিত্রিয়ায় ৩৬ হাজার কোটি পতঙ্গের আক্রমণে খাদ্য নিরাপত্তায় ভয়াবহ হুমকি তৈরি হয়েছে।কেনিয়ার ৮০ হাজার হেক্টর জমির ফসল সাবার করে দিয়েছে এই পঙ্গপাল। ভারত-পাকিস্তানের বাইরে সৌদি আরবও পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পতঙ্গটির আক্রমণ দেশটির কৃষি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আফ্রিকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭ কোটি ডলারের অনুদান চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। সংস্থাটির প্রধান মার্ক লোকক বলেন, আফ্রিকায় এই ভয়াবহ পঙ্গপাল উদ্বেগজনক হারে ফসল ধ্বংস করছে। ইতোমধ্যেই খাদ্য স্বল্পতায় থাকা পরিবারগুলো তাই আরও বিপাকে পড়েছে। পঙ্গপাল মূলত এক প্রকার পতঙ্গ। এটি আর্কিডিডি পরিবারে ছোট শিংয়ের বিশেষ প্রজাতি যাদের জীবন চক্রে দল বা

বঙ্গবন্ধু -১

Image
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। এটি ১১ মে ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।[৩] এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ফ্যালকন ৯ রকেট দিয়ে বঙ্গবন্ধু -১ উৎক্ষেপণ করা হয়। অভিযানের ধরণ-যোগাযোগ এবং সম্প্রচার স্যাটেলাইট অপারেটর-বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড ওয়েবসাইট- অভিযানের সময়কাল-১৫ বছর মহাকাশযানের বৈশিষ্ট্য বাস-স্পেসবাস ৪০০০বি২ প্রস্তুতকারক-থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেস লঞ্চ ভর- ~৩,৭০০ কিলোগ্রাম (৮,২০০ পাউন্ড) ক্ষমতা-৬kW মিশন শুরু উৎহ্মেপণ তারিখ-১১ মে ২০১৮, ২০:১৪ ইউটিসি (ভোর ০২:১৪ বিএসটি)[১] উৎহ্মেপণ রকেট-ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫[২] উৎহ্মেপণ স্থান-কেনেডি স্পেস সেন্টার লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ কন্ট্রাক্টর-স্পেস এক্স কক্ষপথের পরামিতি-আমল জিও দ্রাঘিমাংশ ১১৯.০৯° পূর্ব উৎকেন্দ্রিকতা ০.০০০

জোনাকি

Image
জোনাকি (Firefly)  Coleoptera বর্গের Lampyridae গোত্রের ছোট, আলোপ্রদায়ী মাংসাশী পতঙ্গ। প্রাচীনকাল থেকেই এসব পতঙ্গ প্রকৃতিবিদ, জীববিজ্ঞানী, শিশু-কিশোর ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। জোনাকি জ্বলন্ত কীট বা বৈদ্যুতিক ছারপোকা নামেও পরিচিত। বহু প্রজাতির স্ত্রী সদস্যের ডানা নেই। Lampyridae গোত্রের প্রায় ২,০০০ প্রজাতি রয়েছে। এসব নিশাচর পতঙ্গ হতে পারে খুব ছোট আকারের; ৫ মিলিমিটারের কম বা বেশ বড় আকারের, ২২ মিলিমিটারের চেয়ে বড়। জোনাকির সবচেয়ে বড় গণ Luciola (সমগ্র পৃথিবীতে)-এর প্রজাতি সংখ্যা ২৯০। জাপানের ১৭ ও শ্রীলঙ্কার ২১ প্রজাতিসহ এশিয়াতে এদের প্রায় ২৮০ প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত Lamprophorus tenebrous, Lampyris marginella, Luciola chinensis, L. ovalis  প্রজাতিগুলি শনাক্ত করা হয়েছে। জোনাকিরা নিশাচর। অনেক প্রজাতির পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী পতঙ্গ লার্ভা আকৃতির। অন্যরা খাটো ডানাসহ স্বাভাবিক আকৃতির। বহু প্রজাতির পূর্ণ বয়স্করা আহার থেকে নিবৃত্ত থাকে। বাংলাদেশের L. tenebrosus অন্য অনেক জোনাকির মতো যৌন-দ্বিরূপতা (sexual dimorphism) প্রদর্শন করে। এর লার্ভাকৃতির স্ত্রী পতঙ্গ ৬০ মিলি

পরমাণু

Image
পরমানু হলো রাসায়নিক মৌলের ক্ষুদ্রতম অংশ যার স্বাধীন অস্তিত্ব নেই (নিস্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণু ব্যতীত), কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারে সেসব আণুবীক্ষণিক কণিকাদিকে পরমাণু বলে । সমস্ত কঠিন, তরল, গ্যাস এবং আয়ন -এর গঠনের মূলে রয়েছে নিস্তরিত বা আধানগ্রস্ত পরমাণু । পরমাণুর আকার খুবই ক্ষুদ্র; সাধারনত এরা দৈর্ঘ্যে ১০০ পিকোমিটার ( ১ মিটারের ১০,০০০,০০০,০০০ ভাগ বা চুলের ১ লক্ষ ভাগের ১ ভাগ)। পরমাণুর মাত্রা এই ক্ষুদ্রাকার হওয়ার কারণেই এর আচরনের বৈশিষ্টতা প্রথাগত পদার্থবিদ্যার সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না । পরমাণু তত্ত্বের ইতিহাস ভারতীয় দার্শনিক কণাদ খ্রীস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে পরমাণুর ধারণা দেন । তিনি বলেন সকল পদার্থই ক্ষুদ্র এবং অবিভাজ্য কণিকা দ্বারা তৈরী।পরমাণু তত্ত্ব গ্রিক দার্শনিকেরা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে নয়, বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পদার্থের তত্ত্ব নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ ধারার প্রথম দার্শনিক ছিলেন মিলেতুসের লেউকিপ্পুস (খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী)। তার বিখ্যাত শিষ্য আবদেরার ডেমোক্রিটাস খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০অব্দে পদার্থ যেসব অতিক্ষুদ্র অবিভাজ্য কণা দ

করোনা ভাইরাস

Image
করোনাভাইরাস হলো নিদুভাইরাস শ্রেণীর করোনাভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি।[১][২] করোনাভাইরাস ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস গ্রুপ: ৪র্থ গ্রুপ ((+)ssRNA) বর্গ: নিদুভাইরাস পরিবার: করোনাভাইরদা উপপরিবার: করোনাভাইরিনা গণ: আলফাকরোনাভাইরাস বেটাকরোনাভাইরাস ডেল্টাকরোনাভাইরাস গামাকরোনাভাইরাস আদর্শ প্রজাতি করোনাভাইরাস এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলো বেস পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে।ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রুপ প্রকাশ করে। ধারনা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানবদেহে প্রবেশ করে। করোনা ভাইরাসের প্রস্থচ্ছেদ সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্ল

গ্রহ

Image
গ্রহ বলতে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মহাবিশ্বের এমন যেকোন বস্তুকে বোঝানো হয় যার কেবলমাত্র নিজের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করার ক্ষমতা আছে, যার ভর তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়া শুরু করে সূর্যের মত শক্তি উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়, এবং যে তার প্রতিবেশের সব ছোট ছোট বস্তুকে সরিয়ে দিয়েছে বা নিজের মধ্যে অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। সাধারণত গ্রহরা কোন না কোন তারা বা নাক্ষত্রিক ধ্বংসাবশেষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, তবে এর ব্যতিক্রম থাকার সম্ভাবনাও অনেকে ব্যক্ত করেছেন।[১][২][৩] গ্রহের ইংরেজি প্রতিশব্দ planet-এর মূল বেশ প্রাচীনকালে প্রোথিত যার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক ঐতিহাসিক, বৈজ্ঞানিক, পৌরাণিক ও ধর্মীয় বিষয়াদি। প্রাচীনকালের অনেক সংস্কৃতিতেই গ্রহদেরকে স্বর্গীয় বা দেবতাদের দূত ভাবা হতো। মানুষের জ্ঞানের সীমা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এই ধারণারও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে আমরা জানি এরা কিছু জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু বৈ অন্য কিছু নয়। ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন একটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সৌরজগতের গ্রহগুলোর সুস্পষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারিত করে। এই আধুনিক সংজ্ঞা অনুসারে ১৯৫০ সালের পূর্